Wednesday, January 8, 2014

টপনিউজবাংলা

Thursday, May 30, 2013

আজ অস্থিরতা যাতাকলে বন্দি সবাই

আর বড়ই দুঃসময় চলছে। অস্থিরতার যাতাকলে বন্দি সবাই। কারো কোন সময় নেই নিজের জন্য একটু সময় বের করার।

Sunday, October 31, 2010

জানি তবুও মন মানে না

আমি খুব ভালো করেই জানি তুমি আসবে না। তবুও তো মন মানে না। কারণ আমি কথা দিয়ে কথা রাখতে পারিনি। তোমাকে বলেছিলাম আমি সব কিছু ছেড়ে তোমার কাছে চলে আসবো। কিন্তু পারিনি। আসলে সব কিছু ছেড়ে আসা যায় না। বাবা-মা, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজন ছেড়ে চলে আসি কি করে? আমাকে এ পর্যন্ত আসতে তাদের অবদান অনেক। এখন কি করে তাদের সেই প্রত্যাশা ধুলোয় মিশিয়ে দিই। আমি জানি আমার জীবন তোমাকে নিয়ে সুখেই কাটবে। দুঃখের বিন্দুমাত্র আমাকে স্পর্শ করতে পারবে না। শত বাঁধা আসলও তুমি আমাকে আগলে রাখবে। আমার কিছু করার নেই। আজ তোমার বন্ধন থেকে আমার ঐ বন্ধনটাই সবচেয়ে বড় মনে হচ্ছে। তাদেরকে আমি দুঃখ দিতে পারবো না। আমি জানি না তোমার চেয়ে ভালো কাউকে আমি পাব কি না? কিন্তু তারপরও কথা থেকে যায়। আমি আমার পরিবারের অমতে তোমার সাথে চলে আসতে পারি না। আমাকে ক্ষমা করে দিও।

Saturday, October 30, 2010

তুমি কি ফিরে আসবে?

তুমি কি ফিরে আসবে অনন্যা। সেই যে কবে চলে গেলে আমেরিকায়। তারপর একবারও তোমার খোঁজ পাইনি। তুমি কেমন আছ জানি না। আমার কথা কি তোমার মনে পড়ে? কত ব্যস্ততায় তোমার সময় কাটে। কি করছো তুমি এখন। সেই যে তোমার সাথে দেখা হলো। কথা হলো। বলেছিলে যোগাযোগ রাখবে। রাখনি। জানি না তুমি আমার এ লেখা পড়ছো কি না। যখন তোমাকে আমি লেখা লিখছি তখন খুব ভোর। রাতে ঘুম হয়নি। খুব ভোরে উঠেই তোমার কথা মনে পড়েছে। আমি নিজেকে তোমার স্মরণে ব্যস্ত রাখছি। আমার ভালো লাগছে। অনেকক্ষণ তোমার কথা ভাবছি। তুমি কি আমার কথা একটুও ভাবো? জানি না। একটা অদ্ভুত ঘটনা তুমি করেছিলে। তারপর থেকে আমার সব পাল্টে গিয়েছিল। বাড়ির সামনে রিক্সা থেকে নামলে। আমি ছিলাম একটু দূরে রাস্তার পাশেই একটা বইয়ের দোকানে। মৃদু পায়ে হেটে আসলে আমার সামনে। একটি দশ টাকার নোট আমার দিকে বাড়িয়ে দিলে। দুই আঙ্গুল দিয়ে এমন ভাবে ধরলে যেন তুমি আমাকেই দেখাতে চাইছো বা আমাকেই বলতে চাইছো। ওই টাকাতে লেখা ছিল --->         "I Love You পারলে ঠেকাও।" মুখ ফুটে প্রকাশ করো নি। এই ব্যাপারটা আজও আমার কাছে মধুর স্মৃতি হয়ে আছে। তোমার কি মনে আছে অনন্যা? উত্তর দিও। আর ভালো থেকো।

নীলা তোমার জন্য

নীলা বসে আছে তাদের মার্সিডিজ গাড়িতে। গেল বছর তার বাবা তাকে কিনে দিয়েছেন এই দামি গাড়ি। নীলা একাই চড়ে। তার বাবার আর একটি গাড়ি আছে। বিষন্ন মনে সে বসে আছে। আজ তার মন ভালো নেই। গতকাল ওর মন ভালো ছিল। আজ নেই। কি কারণ সে জানে। কিন্তু মনের ভেতরে এটা পুষে রাখতে ভালো লাগছে। চারিদিকে এতো মানুষ দেখে নীলা। কত জনের কত সমস্যা থাকে। কে কার খোঁজ নেয়। ছোট ছোট কথা। ছোট ছোট দুঃখ। সব একাকার হয়ে যায় তার কাছে। আনমনে বসে থাকে। তার আজ কোথাও যেতে ইচ্ছে করছে না। গাড়ির ভেতর এসি ছেড়ে বসে আছে। গান শুনছে। পুরানো দিনের গান। "আজি কে এলো এ শেষ বেলায়"। গানটা কার গাওয়া সে জানে না। শুনতে ভালো লাগছে।

Saturday, September 25, 2010

মালয়েশিয়ায় স্বপ্ন কেন সত্যি হয় না


সহায়-সম্পদ বিক্রি করে বৈধভাবে এসে আজ সর্বস্বান্ত হয়ে শত শত শ্রমিক মালয়েশিয়ায় জেলের ঘানি টানছেএদের অনেকের বৈধ ভিসা ও কাগজপত্র থাকার পরও এখন তারা বিচারের মুখোমুখিমালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন আইনে ওরা অপরাধীকারণ কোনও শ্রমিক চুক্তিবদ্ধ কোম্পানি বা সেক্টর পরিবর্তন করলে তাকে জেল-জরিমানার মুখোমুখি হতে হয়কুয়ালালামপুরস্থ সুংগাই বুলো জেলখানা থেকে ডাকাতির মামলায় ৩ বছর পর বেকসুর খালাসপ্রাপ্ত জনৈক বাংলাদেশী এ প্রতিবেদককে জানান, জেলে আটক বেশিরভাগ শ্রমিকই রয়েছে বৈধ ভিসাধারীউল্লিখিত অপরাধে তারা আটক রয়েছে এছাড়া রয়েছে ওভারস্টে হয়ে যাওয়া শ্রমিক, বৈধ কোনও কাগজপত্র না থাকা শ্রমিক, ট্যুরিস্ট ভিসায় এসে চাকরিরত থাকা শ্রমিক ও জাল ভিসায় আটক শ্রমিকজাল ভিসায় আটক শ্রমিকরা নিজেরাও জানত না তার ভিসাটি জালএজেন্সিকে বিশ্বাস করে টাকা-পয়সা দিয়ে যে ভিসা সে করেছে সেই জাল ভিসা নিয়ে পথে বের হয়ে পুলিশের কাছে ধরা পড়ে বহু শ্রমিক এদেশের বিভিন্ন জেলে আটক রয়েছেতাদের অনেকেই আবার দেশে যাওয়ার পথে এয়ারপোর্ট থেকে আটক হয়বিভিন্ন ক্যাটাগরির এই শ্রমিকদের সবাইকেই কমবেশি সাজা ভোগ করতে হচ্ছে এবং সাজা পেতে হবেমানবিক দিক বিবেচনা করে আদালত সাজার মেয়াদ সাধারণত ৫/৬ মাস ধার্য করে থাকেনতবে অনেক ক্ষেত্রে অবৈধ শ্রমিককে আইনানুসারে ২টি করে বেত্রাঘাতও দেয়া হয়এরকম বহু শ্রমিক জেলে আটক রয়েছে, যারা আড়াই লাখ টাকা খরচ করে এসে ৫০ হাজার টাকাও দেশে পাঠাতে পারেনিঅথচ তার আগেই অবৈধ হয়ে জেলের ঘানি টানছেজেলের সাজা ভোগ শেষ হলে হতভাগ্যদের স্থান হবে

দুবাইতে বাঙালিদের অসহায় অবস্থা

আরব আমিরাতের দুবাইতে কাজ করে ৫ মাস থেকে বেতন না পাওয়াতে কর্মবিরতির করার অপরাধে কোম্পানীর মালিক ২৫ জন বাঙালি ওয়ার্ক পারমিট কার্ড ফিরিয়ে নিয়েছে। ফলে এখন শ্রমিকরা না পারছে আদালতের আশ্রয় নিতে। আবার না পারছে নিজের খাবার এর ব্যবস্থা করতে। একটি কন্সট্রাকশন কোম্পানী তাদের দিয়ে দীর্ঘ ৫ মাস ধরে কোন বেতন ভাতা দিচ্ছেনা বলে শ্রমিকরা সেপ্টেম্বর মাসের প্রথমদিকে কর্মবিরতি পালন করে। প্রতারণা করে কোম্পানীর মালিক ওয়ার্ক পারমিট কার্ড নিয়ে যায়। এরপর তারা বেতন দিবেনা এবং ওয়ার্ক পারমিট কার্ডও দিবেনা বলে জানায়। এসব বাঙালি শ্রমিক বেতন না পাওয়াতে বাড়ি থেকে টাকা এনে খেতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে কোম্পানীর মালিক এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা অপারগতা প্রকাশ করেন।

এভাবে আমার দেশের শ্রমিকরা বিদেশে কত কষ্ট স্বীকার করে টাকা রোজগার করে থাকে। তাদের পাঠানো টাকা আমাদের দেশের কোন উন্নয়ন কাজে লাগানো হয় না। আমরা এখানে এগুলো নিয়ে নিজেদের পকেট ভারি করি। আমরা জানি না তাদের আর কবে দেশে ফিরে আসা হবে। এতো কষ্টের মাঝেও তারা তাদের স্বজনদের মুখের হাসি দেখতে চায়। দেশের মানুষের কষ্ট, হাহাকার আর ক্ষুধা, দারিদ্র দেখতে চায় না।

Monday, August 23, 2010

দেশের টানে ফিরে আসবো বাবা

দেশের টানে, নাড়ির টানে, মায়ার টানে আমার জন্মভূমি-মাতৃভূমির টানে ফিরে যেতে ইচ্ছে করে। বিদেশ বিভূইয়ে টাকার জন্য ছুটে বেড়াচ্ছি। আর কত টাকা হলে দেশে যেয়ে শান্তি মত বসবাস করতে পারবো? আর কত টাকা হলে দুমুঠো খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকতে পারবো। দারিদ্রের কষাঘাতে পিষ্ট হতে হতে বাবা-মায়ের শেষ সম্বলটুকু বিক্রি করে বিদেশ আসা। বাবা তুমি চিন্তা করো না আমি ঠিকই তোমার দুঃখ দূর করবো। মা তোমার জন্য সুখের আবাস ফিরিয়ে দিতেই তো আমার এ বিদেশে আসা। আর মাত্র তো কটা দিন। এবারের ঈদে তোমার অনেক কিছু আনবো। বাবা তোমার জন্য দামি ঈদের পাঞ্জাবী আনবো। ছোট ভাইটার জন্য কিছু খেলনা আনবো। বাবা ভাইটা আমার কত বড় হয়েছে? সেই কবে দেখেছি। একটা ছবি পাঠিয়ে দিও। আমার আগের ঠিকানাটা বদলেছি। অফিসের কাছাকাছি বাসা নিয়েছি। তোমাকে ঠিকানা দিয়ে দিব। করিম চাচার কাছে আমার ঠিকানা দিয়েছি তুমি সময় করে চেয়ে নিও। আর কিছু টাকা পাঠিয়েছি এবারের বর্ষায় আমাদের ঘরটা একটু মেরামত করো।

যারা আছো পরবাসে

যারা আছো পরবাসে তাদের জন্য আমার অনেক অনেক সালাম। তোমরা বিদেশে থেকে কত কষ্ট করে দেশের জন্য রোজগার করছো। দেশে তোমার মা, বাবা, ভাই, বোন, আত্মীয়-স্বজন আছে। তারা তোমার জন্য পথ চেয়ে আছে। কোথায় আছ কেমন আছ তারা তা জানে না। তোমার মা তোমাকে কত কষ্ট করে বড় করে তুলেছেন। বাবা তোমাকে লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষের মত মানুষ করে দিয়েছেন। তোমাকে বিদেশে পাঠিয়ে তারা পথ চেয়ে আছেন। কখন তার ছেলে বাড়ি ফিরে আসবে। কখন এসে ডাক দিবে মা মা বলে। বাবা বলে বুকে জড়িয়ে ধরবে। কত কথা জমে আছে তাদের মনে। বিদেশে কেমন আছে তার ছেলে। ঠিকমতো খায় তো? আমার ছেলের শরীর-স্বাস্থ্য কেমন আছে?

আমার ছেলেবেলা

অনেক আগে ছোটবেলায় যখন কিছু বোঝার বয়স হয়নি তখন থেকেই মাটি দিয়ে কিছু তৈরী করার চেষ্টা করতাম। এই ধরুন কার গাড়ি, বাস, মাইক্রোবাস, ঘড় বাড়ি এরকম আরও কত কি। কাগজ দিয়ে বানাতাম নৌকা, প্লেন, শাপলা ফুল। আমাদের বাড়ির পাশেই ছিল একটি পুকুর। পুকুরে নৌকা ভাসাতাম, ঘর-বাড়িগুলো রোদে শুকিয়ে রাখতাম। সেগুলো শক্ত হয়ে যেত। আর বাসায় সাজিয়ে রাখতাম। বৃষ্টি হলে পুকুর ভেসে যেত। সেখান থেকে মাছ উঠে রাস্তায় চলে আসতো। অনেক মাছ ধরেছি রাস্তা থেকে। বিশেষ করে কৈ মাছ কান দিয়ে হেটে হেটে চলে আসতো। পুকুরে বাড়শি দিয়ে মাছ ধরতে দিত না কিন্তু বর্ষার বৃষ্টি পুকুর ভাসিয়ে নিলে মাছগুলোকে আর আটকে রাখতে পারতো না। সেগুলোই কুড়িয়ে কুড়িয়ে বাসায় নিয়ে যেতাম। তার পেচিয়ে পেচিয়ে তার সাথে ম্যাচ বাক্সের খোল দু'পাশে লাগিয়ে এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত কথা বলাতাম। বৃষ্টিভেজা দিনে ফুটবল খেলতে মাঠে চলে যেতাম। শরতের দিনে কলেজ মাঠে গিয়ে ঘুড়ি উড়িয়েছি।

Sunday, August 22, 2010

কল বাংলাতে আপনাকে স্বাগতম

কলবাংলাতে আপনাকে স্বাগতম। আপনি যেখানেই থাকেন না কেন, আপনাকে আপনার দেশের কাছাকাছি রাখতে এবং আপনার কাছের মানুষের সাথে স্বাচ্ছন্দে কথা বলতে আমরা নিয়ে এসেছি সাশ্রয়ী কল রেট। আমাদের সর্বনিম্ন কল রেট নিয়ে আপনি কথা বলতে পারবেন পৃথিবীর যে কোন প্রান্তে। আমরা আপনাকে খুব কম মূল্যে কল রেট প্রভাইড করছি। - কলবাংলা।

Share

Twitter Delicious Facebook Digg Stumbleupon Favorites